কলকাতা,৩১ জুলাই, ২০২৫ :– কলকাতা উৎসবের শহর আর কলকাতার প্রধান উৎসব হল দুর্গাপুজো। এই দুর্গাপুজোকে ঘিরেই সারা বছরের অপেক্ষায় থাকে আমোর বাঙালি। পুজো আসার দুমাস আগে থেকেই পুজোর গন্ধ ছড়িয়ে পরে অলিতে গলিতে ঠিক এবারে যেমন পড়লো ক্যালকাটা রেলিভেন্টের অন্য পুজোর দ্বিতীয় বছরের আয়োজনে। হয়ে গেল অন্য পুজোর খুঁটি পুজো। কলকাতার দ্বিতীয় সংস্করণ ঘোষণা করেছে একটি ভিন্ন দুর্গা পুজো, অন্য পুজোকে শিক্ষার্থীদের হয়েছিল যা বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবের দায়িত্ব এবং সাংস্কৃতিক চেতনায় মূল্যবোধের সাধে একত্রিত করেছে।
এই অন্য পুজোর প্রতি কি সূচনা হিসেবে অন্য পুজোর খুঁটি পুজো উদযাপনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে এটি এই বছরের থিম নারকোল কথা এবং ম্যাসকট ঘোষণা করা হয় যার নাম দেওয়া হয়েছে নারু দা। যার লক্ষ ছিল পরিবেশগত দায়িত্ব এবং সমসাময়িক দিক থেকে সংস্কৃতি দেখতে যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করা।

ই উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মানসী রায় চৌধুরী,মিস্টার নীল ভট্টাচার্য, এর প্রতিষ্ঠাতা এবং এম ডি সুজাতা চ্যাটার্জি, মিসেস পোলিং লারাভোয়ার,এবং মিক ক্যালকাটা রিলিভেন্টের প্রতিষ্ঠাতা টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রধান উদ্যাপনা কর্মকর্তা দেবদূত রায়চৌধুরী।
এই বছর নারকোল কথা থিমটি প্রতিকি হিসেবে নারকল উপজাত তার মধ্যে রয়েছে নারকেলের দড়ি, সহিং, কাঠ কয়লা ব্যবহার করে প্যান্ডেলটি অনন্য ভাবে তৈরি করা হবে। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এর দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়িত হবে। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পালন করবে তাদের সৃজনশীলতা, কারু শিল্প এবং দায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে পুনর্গঠন ও উদ্ভাবনের একটি দৃশ্যমান উপস্থাপনা তৈরি করবে।
অন্য পুজো ছিল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে এমন ভাবে পুরো কল্পনা করার বিষয়ে যা আজকের যুবসমাজ এবং পরিবেশের সাথে অণুরণিত হয়। সময় এসেছে আমাদের সাহিত্যের জরুরি আহবানের সাথে আমাদের ঐতিহ্যকে একত্রিত করার। আমি বিশ্বাস করি এই উদ্যোগ আরো এবং উদ্ভাবনী ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করেছে। মেঘ ক্যালকাটা ইলেভেন্ট এখানের প্রতিষ্ঠাতা মিস্টার মেঘদুত রায়চৌধুরী বলেন এই প্রকল্পটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে দুর্গা পূজার মতো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিতে দায়িত্বকে এর মালিকানা গ্রহণ করেছে। ঐতিহ্য এবং সাহিত্যের মিলন ঘটলে যে উদ্ভাবন হতে পারে তারই এক প্রতিমূর্তি ছিল অন্য পুজো বলেন পুনভারসাম্য ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা মিসেস লারাভোয়র।

অন্য পুজোর খুঁটি পুজোতে শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হয় সমস্ত আচার অনুষ্ঠান এবং রীতিনীতি সহ সমস্ত তবুও এর ঐতিহ্যবাহী মুলের বাইরে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে অগ্রগতির যা অতীতকে সম্মান করে এবং আরো সবুজ আরো চিন্তাশীল ভবিষ্যতের পথ প্রশস্থ করবে।





